প্রিয় বউ,
তোমাকে বলাই হয়নি, তুমি তোমার বন্ধুকে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে মাইন্ড পরিবর্তন করতে গেছো কিন্তু এদিকে ঘটে গেছে আরেকটি দুর্ঘটনা, তুমি এই পত্র পড়ার পর হয়তো বিস্মিত হবে কিংবা তেলে বেগুণে জ্বলে উঠবে, কোথাও কোথায় ফোসকা পরে যেতে পারে আবার নাও হতে পারে, তুমিও সাধুবাদ জানাতে পারো এমনটাই মনে করি।
তুমি চলে যাবার পর খুব একা একা লাগছিলো, মনে হচ্ছিল কি এমন বস্তু হারিয়েছি যার জন্য আলোকে অন্ধকার মনে হচ্ছে, যখন তুমি ঘরে থাকতে তখন বুঝতে পারিনি, কত রাত দুজনার মাঝে ফারাক্কার বাঁধ হিসেবে কোল বালিশ দিয়ে রেখেছি কিংবা তুমি রেখেছো, তুমি বলতে আমার জন্য কি তোমার সময় হবে না, বিয়ের আগেই তো ভালো ছিলে তুমি, একসাথে বসে কত ফুসকা খেয়েছি, কত জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি, অবশ্য তখন তুমিও পড়ালেখা করতে আর আমিও, তুমি চাকরি পেলে, এক সময় ধুমধাম করে রসায়নের বিক্রিয়ায় নিজেদের পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রে ফেলে ইতিহাস রচনা করতে চেয়েছিলাম। আজ তুমিও ব্যস্ত, তোমার ব্যস্ততা দেখে মনে হয় আমার ভেতর আর কোনো জৈবতা নেই যেটার জন্য জমিন পতিত থাকবে।
প্রিয় বউ সত্যি তুমি বেড়াতে যাওয়ার পর কয়েকদিন তোমার কথাগুলো আমাকে কুরেকুরে খেয়েছে, কিন্তু আজ অনেকটা হালকা মনে হচ্ছে। হয়তো তুমি আমাকে ফেলে মাইন্ড পরিবর্তন করতে গিয়ে ফুরফুরে আছো তোমার বন্ধুকে পেয়ে, শুনলাম তুমি যে হোটেলে উঠেছো সেটা তোমার বন্ধুর হোটেল, যাক তোমার পরিবর্তন হোক সেটাই চাই, আমিও বোরিং ফিল করছিলাম আর সেটা তোমার বান্ধবী মাধবী লতা অনেকটাই হালকা করে দিয়েছে।
প্রিয় বউ,
পত্র পড়ে আশা করি আমাকে ভুল বুঝবে না, আমি এমন কোনো অন্যায় বা অপরাধের কাজ করিনি তোমার বান্ধবীর সাথে, তোমার বান্ধবীও আশা করি তোমার নিকট তেমন কোনো অভিযোগ পেশ করবে না কোনোদিন, কেননা তোমার বান্ধবীও খুব খুশী আমাকে হাসতে দেখে, তুমি জানোনা আমার উচ্চ হাসি শুনতে পেয়ে বলছে তুমি নাকি এমন হাসি হাসতে আমাকে দেখোনি তোমার আমার বিয়ের পর একটি দিনও।
প্রিয় বউ, আজ আর তেমন কিছুই লিখবো না, শুধু তোমার অপেক্ষায় থাকলাম, বাকিটা তোমার বান্ধবী মাধবী লতার কাছে জেনে নিও। … ইতি তোমার বর অর্ণব।
[বিঃদ্রঃ স্ত্রীর চিঠির জবাব পড়ার অপেক্ষায় থাকুন]