তোমাকে একটি কবিতা উপহার দিবো বলে শহরের অলিগলি, কংক্রিটের আবৃত শরীর, আলিসান বাড়ি, গাড়ি, আভিজাত্যকে পুড়িয়ে শুদ্ধতার খোঁজে আজও সবুজের মাঝে যৌবনকে পরিশোধন কোরে চলেছি, কিন্তু; তুমি বললে প্রথম প্রেমই…
তুই যদি স্বপ্নের প্রজাপতি হয়ে শুষ্ক নদীতে চিরচির করে বয়ে চলা জলের স্রোত এনে দিতে পারিস তবে, তোকে হৃদয় কিনে দিবো তুই যদি তপ্ততায় বৃষ্টি হয়ে চৌচির হয়ে যাওয়া মৃত্তিকার…
চোখ মেলে দেখি সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছো, যখন নিন্দ্রায় নেশা গ্রস্থ দেখিনা পৃথিবীর স্পষ্ট আলো, তখনো দেখি একটি বালিশের অর্ধেকটা জুড়ে নিভুনিভু করে জ্বলছো। যখন হাঁট বাজারের মতো স্থানের অলি গলিতে…
অধরা জানো, আঁধার আজ খুব ভালো লাগে ভালো লাগে বন্ধো কারাগার এখানে আলোক স্বল্পতা, বাতাসে গা পচা উপ্ততা সবই যেন কেমন কেমন অমৃত লাগে এখানে কেউ আর রুদ্র বলে ডাকে…
তাঁর স্তন স্পর্শ করেই পৃথিবীর সুখ অনুভব করি বুঝতে পারি আমার মতো সেও এমন স্পর্শে কাতর এমনটা শুনে তোমরা পৃথিবীর নিকৃষ্ট প্রাণী বলে যে যার মতো ঘৃণার অবাধ্য লালা আকাশে…
এরা কারা টকশো আর সেমিনারে ঠেকুর তুলে বলে সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি লাইট ক্যামেরা এ্যাকশন বন্ধ হলেই নৈশ্যভোজে মদের বোতল ঠোঁটে তুলে দিস্তার পর দিস্তা কর্ণফুলি টিস্যুর মতো দুমরে…
অবশেষে জোড়াতালির দেহ জোড়াতালিই রয়ে গেলো স্বপ্নগুলো নিদ্রামাঝে যেমন আজও কানামাছি হয়ে খ্যালা করে, ঠিক হলুদ ময়না পাখিটির মতোন, সজাগ পৃথিবীতে ঘুমন্ত ছায়া-কায়া। মানুষ গুলো রঙধনুর মতো বিবেক রাঙিয়ে উঠে…
জল হয়ে জন্ম নিলি আর পাতিল বদল কোরবি না এটা কি করে হয়? জল তো তরঙ্গে তরঙ্গে ছলাৎ ছলাৎ নৃত্যে স্থান পরিবর্তন করে তুই না ক'রলে হয়? মাটি বলেও ভাবতে…
স্নিগ্ধতার মতো বেড়ে ওঠা ভালোবাসা ছিঁড়ে গেলে এখন আর তেমন রঙ-বেরঙয়ের রুধি বের হয় না, ছিড়ে গেলেই নাকি বৃক্ষ শুকিয়ে যায়, হারিয়ে যায় দিন, হারিয়ে যায় রাত! ভালোবাসায় দিনই বা…
আমি উলঙ্গ হলেই যত সমস্যা পৃথিবীর কিন্তু ক, খ, গ, ঘ, ঙ- এক চুল রাখেনি গায়ে বস্ত্র, কই? কোথাও তো শুনিনি কান কথা কিংবা আন্দোলন গ্রীষ্মের তাপদাহেও পুড়েনি কোনো চায়ের…